পার্বত্য চট্রগ্রামের গুচ্ছ গ্রাম নামক বন্দিশালায় মানবেতর জীবণ যাপন করছে ২৬হাজার ২শ ২০বাঙ্গালী পরিবার। ফলে পুনর্বাসন ও নিরাপত্তার জটিলতার কারণে চরম ধৈত্যদশা নেমে এসেছে বাঙ্গালীদের জীবনে।

অনুসদ্ধানে জানাগেছে, ১৯৮৬সালে বিরাজমান পরিস্থিতিতে এরশাদ সরকার নিরাপত্তা জণিত কারণে পুনর্বাসিত
২৬হাজার ২শ ২০বাঙ্গালী পরিবারকে ৮১টি গুচ্ছ গ্রামে নিয়ে আসে। তখন থেকে নিজ বসত বাড়ি হারিয়ে
বাঙ্গালীর জিবণে নেমে আসে চরম দূর্দশা। অর্ধহারে অনাহারে দিন অতিবাহিত করতে থাকে বন্দি বাঙ্গালীরা।

১৯৮৯সালে খাগড়াছড়ি টাউন হলে ততকালীন সরকার প্রধান এইচ এম এরশাদ এর কাছে কৃষক শ্রমিক কল্যাণ
পরিষদ বাঙ্গালীদের দুঃখ-দূর্দশা তুলে ধরলে অনুমোদন হয় রেশনিং ব্যবস্থার। কিন্তু এসব পরিবার আর নিজ
বসতভিটায় ফিরে যেতে না পারায় গত দুই যুগের বেশি সময় ধরে পরিবার পিছু ৮৪কেজি করে রেশন প্রদান
করলেও পরিবার পরিজনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাাদির চাহিদা মেটাতে চরম দূর্দশায় দিন যাবন করছে।

অনুসন্ধ্যানে জানাযায়, পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলায় ৮১টি গুচ্ছ গ্রামের ২৬হাজার ২শত ২০পরিবার এর
অধিকাংশ পরিবারই এখন আর রেশননির্ভর। রেশন না থাকলে অর্থনৈতিকভাবে চরম সংকটে ভুগে এই পরিবার
গুলো। তাই গুচ্ছ গ্রামে বন্দী বাঙ্গালীদের দাবি আমরা আর বন্দি জীবন থেকে মুক্তি দেওয়া হউক। পূর্ণবাসন করা
হউক নিজ বসতভিটায়, সেখানেই চাষাবাদ করে জীবন ধারণ করতে পারে।

মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

আরো পড়ুনঃ ঠাকুরগাঁওয়ে বিদেশী পিস্তলসহ এক যুবক আটক

Leave your comments