১০৩ টাকায় পুলিশে চাকুরি

ঠাকুরগাঁওয়ে ১০৩ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রদান করেন ঠাকুরগাঁওয়ের সুযোগ্য পুলিশ
সুপার  মোহা:মনিরুজ্জামান পিপিএম সেবা। মাত্র ১০০ টাকায় পুলিশের চাকরি দিতে চেয়েছেন
ঠাকুগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহা:মনিরুজ্জামান পিপিএম।

৩ টাকা মূল্যের একটি ফরম ও ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট করলেই মিলবে সোনার হরিণখ্যাত পুলিশ বিভাগের
চাকরি। এটিকে বাস্তবে রূপদিতে ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ কনস্টেবল পদে ঘুষ- দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ পরিবেশে নিয়োগ
প্রদানের লক্ষ্যে পরীক্ষার পূর্বে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রচারণা চালানো হয়। যাতে করে
পুলিশে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহনকারীরা কোন দালালের খপ্পরে না পরে।

এসময় পুলিশ সুপার বলেন, যারা পুলিশে চাকরি নিতে আসেন তারা প্রান্তিক ও গরিব। তাদের পারিবারিক অবস্থা
অত্যন্ত দুর্বল। তিনি আরও বলেন,সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৩৮ টি খেটে খাওয়া দিনমজুর ও কৃষক
পরিবারের সন্তানদের পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়।

দিনমজুর পরিবারে খুশির বন্যা

একশ ৩ টাকায় পুলিশে চাকরি পাওয়ায় খুশির বন্যা বইছে ৩৮ টি খেটে খাওয়া দিনমজুর ও কৃষক পরিবারে।
পুলিশ কনস্টেবল পদে চুরান্ত রোজিনা আক্তারের বাবা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার হরিনারায়নপুর গ্রামের
শ্রমিক রেজাউল, হরিপুর থানার গোপালপুর গ্রামের দিনমজুর সুফিয়ার বাবা ফয়সাল ও রুহিয়া থানার
ঝাড়গাঁওয়ের কৃষক মাকফিরাতুন এর বাবা রজব আলী’র  সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন,
আমরা ভাবতেও পারিনি এই যুগে  আমাদের সন্তানদের  পুলিশের চাকরি পাবে তাও আবার ১০৩ টাকায়।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার  ইয়াকুবপুর গ্রামের সহকারী শিক্ষক, জ্যেতিষ চন্দ্র দেবনাথ বলেন,আমার সন্তান
কল্যাণ দেবনাথ নিয়োগ পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করে চাকুরী পাওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। এ সময় কল্যাণ
দেবনাথ বলেন,যে সততা নিয়ে  পুলিশ সুপার আমাকে চাকরিতে চুরান্ত করেছে, সেই সততা নিয়েই আমি পুলিশ
বাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করবো। রুহিয়ার আশরাফ আলী বলেন,আগে শুনেছি পুলিশে
ভর্তি হতে নাকি অনেক টাকা লাগে। কিন্তু আমার কাছে তা মিথ্যা প্রমাণ হলো।

আমি ১ শ’ ৩ টাকায় যে চাকরি পেয়েছি তা আমার এলাকায় অনেকে প্রথমে বিশ্বাস করতে চায়নি। কিন্তু আমি
জোর দিয়ে বলার পর সবাই বিশ্বাস করার পাশাপাশি আমার গ্রামের মানুষের কাছে এখন পুলিশের অনেক
সম্মান বেড়েছে।ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহা:মনিরুজ্জামান স্যার আন্তরিক ছিলেন বলে ১শ’ ৩ টাকায়
চাকরি পেয়েছি, যা আজকাল স্বপ্নেও ভাবা যায় না। পুলিশ সুপারের নির্দেশে চাকুরীতে চুরান্ত প্রার্থীদের ফুলেল
শুভেচ্ছায় বরণ করা হয়।

Leave your comments